Ariyan,s LOve Story 8
ইসরাত চিঠি পড়ে রিফাহর কাছে গেল।রিফাহ ইসরাতকে দেখে বলল,"উত্তর দিয়ে দে।"
ইসরাত বলল,"কিন্তু রনি কি সত্যিই হাত কেটে রক্ত দিয়ে লেখেছে নাকি ওই ক্লাসনেস মোখলেস নাটকের মতো মুরগির রক্ত দিয়ে লিখছে।" "না না না ভাইয়ার হাতে ব্যান্ডেজ।প্রথমে আমিও বিশ্বাস করতে চাইনি।তারপর ব্যান্ডেজ খুলে দেখালো।" "সত্যি বলছিস তো?" "সত্যি বলছি আল্লাহর কসম।" ইসরাত কিছু না বলে রনির সামনে গেলো।তারপর চলে যাচ্ছিল।একটু পর ইসরাত খেয়াল করলো পায়ে পায়েল নেই।খুঁজতে খুঁজতে রনির সামনে গেল।রনি বলল,"কিছু খুঁজছো?" "পায়েল খুঁজে পাচ্ছি না।" "আমি যদি খুঁজে দেই?" "আমার পায়েল দেন।" রনি পায়েল বের করে বলল,"পরিয়ে দেই?" ইসরাত কিছু না বলে চলে যাচ্ছিল।রনি বলল,"কি হলো পায়েল নিবে না?চিঠির তো উত্তর দিলে না।" ইসরাত কিছু বললো না।শুধু একবার রনির দিকে তাকালো।তারপর চলে গেলো। রাতে রনি মার রুমে গেলো।রনির মনেই নেই হাতে কেটে ফেলেছে।মা হাত দেখে বলল,"কিরে তোর হাতে ব্যান্ডেজ কেন?কি দিয়ে কেটেছে?" আয়শা বলল,"আম্মু ভাইয়া রক্ত দিয়ে চিঠি লিখেছে।" মা রনির দিকে তাকিয়ে বললেন,"কার জন্য চিঠি লেখেছিস?" আয়শা বলল,"ইসরাত আপুর জন্য।ভাইয়া ইসরাত আপুকে খুব ভালোবাসে।" মা একটু রাগান্বিত হয়ে বললেন,"এই আয়শা তোকে বলতে বলেছি?তুই যা এখান থেকে।রনি, বল কে কাকে ভালোবাসিছ আর এসব কি সত্যি কথা?বল সত্যি?" রনি মাথা নিচু করে বলল,"ইয়ে মানে মা আম্মু ওই মা ইয়ে মানে আম্মু।" "ওই তুই কি মা আম্মু শুরু করেছিস বল সত্যি কিনা।" "সব সত্যি আমি ইসরাতকে ভালোবাসি।" "দাঁড়া তোর বাবা আসুক সব তোর বাবা বিচার করবে ।" একটু পর বাবা আসলেন।রনি বাবার সামনে গেলো।বাবা বললেন,"তোর মা যা বলেছেন তা কি সত্যি?" "হ্যা বাবা সব সত্যি।" "বিয়ে করবি ইসরাতকে?" "বিয়ে করলে ইসরাতকে করবো নয়তো চিরকুমার হয়ে থাকবো।" "বাহ বাহ ভালো।তা বাবা মা কি করেন?পরিচয় দে।" "বাবা প্রাইমারি স্কুলের হেডটিচার আর মা হাইস্কুলের টিচার।আর বাড়ি বগুড়ায়।আইন নিয়ে পড়ে।" "বাহ বাহ খুব ভালো।মেয়েকে আমারও খুব পছন্দ।সে কি তোকে ভালোবাসে?" "জানি না বাবা।চিঠির উত্তর এখনো দেয়নি।তবে ভালোবাসার দোহায় দিয়ে বলেছি আমার ভালোবাসা যদি সত্যি হয় তবে ইসরাত আমার আমি ইসরাতের আর যদি মিথ্যা হয় এ ভালোবাসা তবে আমি ইসরাতের না আর ইসরাতও আমার না।" বাবা হাততালি দিয়ে বললেন,"বাহ বাহ কি ভালবাসা।তা কোন ইসরাত ওই মেয়ে যে এসেছিল রিফাহর সাথে?" "হ্যা বাবা।" বাবা আবারও হাততালি দিয়ে বললেন,"ওহ মেয়েকে তো আমার খুব পছন্দ।চিঠির উত্তর দিল বলিস সেই অনুযায়ী কাজ করবো।এখন যা।" ইসরাত বারান্দায় দাঁড়িয়ে।রিফাহ এসে বলল,"কি হলো উত্তর দিয়েছিস?" "না কিছুই বলিনি।" "তো বল।" ইসরাত কিছু লিখে রিফাহকে বলল ,"এই চিঠি তোর ভাইকে দিস।রিফাহ রনির কাছে যেয়ে বলল,"ভাইয়া তোমার উত্তর।" রিফাহ চলে গেল।রনি কাগজের ভাঁজ খুলে অজ্ঞান হয়ে গেলো।শান্ত বলল,"এই রনি অজ্ঞান হয়ে গেল কেন?" সজিব বলল,"দেখি কি লেখা আছে।" সজিব কাগজে দেখলো লেখা আছে সরি রনি "আমি কাউকে ভালোবাসি।কালকে বিকেল ৫টায় পার্কে এসো।আমার ভালোবাসার মানুষের সাথে দেখা দেখা করবো।"একটু পর রনির জ্ঞান ফিরলো।
Post a Comment